ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র অফিস অগ্নি সংযোগ ও জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঘটনায় আ’লীগের সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ ৪৬৮ জন ও ২৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একটিতে জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক সাকিব আল গাসান বাপ্পী ও আরেকটি বিএনপি সভাপতির ভাতিজা রিপন বিশ্বাস বাদী হয়ে এই মামলা করেন। ঝিনাইদহ সদর থানার মামলা দুটি হলো নং- ২৭/২৪। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বিএনপির অফিসে ডুকে পেট্রোল ঢেলে অগ্নি সংযোগ করে এবং
সভাপতি এম এ মজিদের কলাবাগান পাড়ার ঢুকে ভাংচুর শেষে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাড়িতে থাকা প্রাইভেঠ কার, মটরসাইকেল ও বাসার মুল্যবান আসবাবপত্র ভস্মিভুত হয়। এই মামলা দুটিতে ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদারকে ১ নল আসামি করেন এবং
ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু, তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, পাগলাকানাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, আ’লীগ নেতা জেএম রশিদুল আলম, বাবু জীবন কুমার বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম, আশফাক মাহমুদ জন, ওয়াল্টন জাহাঙ্গীর ও শ্রমিকলীগ নেতা আক্কাচ আলীসহ ৪৬৮ ও ২৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০০/৮০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় আ’লীগের সাবেক তিন সংসদ সদস্যকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মো শাহীন উদ্দিন জানান, জেলা বিএনপির অফিস ও সভাপতির বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
উল্লেখ্য এর আগে গত ১৯ আগষ্ট ঝিনাইদহ জেল বিএনপি অফিস পোড়ানোর ঘটনায় ৪৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করা হয়। এই মামলায় ঝিনাইদহ র্যাব রোববার অভিযান চালিয়ে গোয়ালপাড়া গ্রামের হোসেন (৩৫), পৈলানপুর গ্রামের আজাদ মোল্যা (৪০), নারায়ণপুর গ্রামের স্বপন মোল্যা (৪২), চুয়াডাঙ্গা গ্রামের মোঃ সাজিদুল ইসলাম (৩৪) কে গ্রেফতার করে সদর থানায় সোপর্দ করেছে এবং আজ মঙ্গলবার ২৭/৮/২৪ তারিখ ঝিনাইদহ র্যাব চারজন তালিকা ভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছেন। গ্রেফতার অব্যহত থাকবে বলে প্রশাসন জানিয়েছেন