পৈতৃক সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখল ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে রবিবার বেলা ১১ টায় নওগাঁ কাজির মোড়ে সংবাদ সম্মেলন করেন, মৃত আমিনুল ইসলাম কবিরাজের ছেলে মোঃ জুমাতুল এম ইসলাম (সৌরভ)।
সংবাদ সম্মেলনের তিনি বলেন, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ এর প্যাথলজি বিভাগের কিউরেটর ডাক্তার আবু জার গাফ্ফার সে একজন ডাক্তার হলেও তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন মুখোশধারী ভূমিদস্যু, আমার পৈতৃক সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখলের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে একাধিক বার আমাকে হত্যা চেষ্টাসহ এমন কোন ষড়যন্ত্র নেই যে তিনি করেনি। কয়েক বছর আগে আমার বাবা মারা যাবার পর মুখোশধারী ভূমিদস্যু ডাক্তার তার স্ত্রী নুরে ই-আফসানা জেরি (আমার বোন) সঙ্গে যোগসাজস করে আমার মাকে তার বাসায় বেড়ানোর জন্য নিয়ে যায়। এর পরে আমার মা’কে মেডিসিন দ্বারা অনেকটা আডনরমাল করে তাদের বাড়িতে রাখে। আমার পৈত্তিক শহরে একাধিক আবাসিক ভবন এবং বাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ভাড়া আদায়ের দায়িত্ব ছিল আমার মায়ের নিকট। কিন্তু ডাক্তার এর বাসায় যাওয়ার পর থেকে ভাড়ার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
এভাবে ২৮ মাসের ভাড়ার হিসেব ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আমার মায়ের কাছে জমা হয়। আমি টাকা চাইতে গেলে ডাঃ এর কুপরামর্শে এবং তার অসৎ উদ্দেশ্যে মাকে বাদী করে আমার নামে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দেয়, ওই মামলায় আমাকে ২১ দিন জেল খাটতে হয়েছে। কিছুদিন পরে আমার পরিচয়পত্র এবং আমার স্বাক্ষর নকল করে আমার সম্পত্তি নামজারি আবেদন করেন ভূমিদস্যু ডাক্তায়, পরে আমি তা জানতে পেরে সেই আবেদনটি বাতিল করি। আমার নামে সে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা গুজব ছড়ায়, যে আমি নাকি মাদক সেবী, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যার মধ্যে একটি।
মুখোশধারী ভূমিদস্যু ডাক্তার গফফারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা আমাকে একাধিকবার হত্যা চেষ্টা করেছেন। সর্বশেষ গত ৫ই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কে পুঁজি করে স্থানীয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সনেট সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে সাথে নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্যোশে হামলা করে। স্থানীয়রা আমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নওগাঁ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করনো হলে আমার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলেও ডা। আবুজার গফফার এবং তার সন্ত্রাসী বাহীনির ভয়ে ১ দিন পর বাসায় চলে আসি। এখনও আমার চিকিৎসা চলমান রয়েছে। আমার মাথায় ৭ টি শেলায় এবং অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের কারনে আমি এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। এঘটনায় আমি ভাড়াটে সন্ত্রাসী সনেট এর নাম উল্লেখ করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় ৩২৩,৩০৭,৩২৫ ও ৫০৬ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করলেও রহস্যজনক ভাবে একদিনেই মামলা থেকে জামিন পেয়ে যায়। এছাড়াও আমার পৈতৃক সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখল করার প্রতিবাদ করায় গত জানুয়ারির ৪ তারিখে আনুমানিক দুপুর ২ টায় দিকে নওগাঁ কোর্টের সামনে ডাঃ গফফার এবং তার সন্ত্রাসী বাহীনি আমার উপর হামলা চালায়, সে সময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে। সেই ঘঠনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আছে। আমার পৈতৃক সম্পত্তিতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ডা গাফফার সাবেক সাংসদ আব্দুল জলিল জনের পিএস ইমরানের সহযোগিতায় ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও আমার কোমাইপাড়ী এলাকার একটি টেম্পু গ্যারেজে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেন। সে সময়ও আমি কোন আইনি সহযোগিতা পায়নি। সে সময় ইমরান আমাকে মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে আসসিলেন। ডা: গাফফার এখন নতুন করে মিথ্যা গুজব ছাড়াচ্ছে আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি ও মাদক সেবন করি এমন মিথ্যা তথ্য বিভিন্ন যায়গাতে ছরিয়ে দিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেস্টা করছে।
মুখোশধারী ভূমিদস্যু গফফার তার ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, পুলিশ, বিচার বিভাগকে তার মতো করে কাজ করাচ্ছে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত হয়তানি করে আমার পৈত্তিক সম্পদ দখলের চেস্টা করছে এখনো আমি আমার পরিবার প্রাণের সংশয়ে আছি। আমি ও আমার পরিবার সকল স্তরের প্রশাসনের উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষ ও সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করছি সেই সাথে মুখোশধারী ভূমিদস্যু ডাক্তার গফফারের আমার সাথে করা সকল অন্যায়ের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবী করছি।