সদর উপজেলার সুলতানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তারী ফেরদৌস শিক্ষা ও আইসিটি শাখার সি এ এর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া ও অসদাচরণ করার বিষয়ে (১৯ আগষ্ট) সোমবার বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, শিক্ষা ও আইসিটি শাখার সি এ মোঃ শরিফুল ইসলাম গত ৩০/০৭/২৪ ইং তারিখ এবং সর্ব শেষ গত ১৮/০৮/২০২৪ ইং তারিখ অত্র অফিসে সুলতানপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিষয়ে কিছু কাগজ পত্র দিতে গেলে আমাকে বলে আপনি কেন এখানে এসেছেন আপনাকে তো নিষেধ করছি এ অফিসে আসবেন না। তার পরেও কেন আসছেন। এর পর এখানে দেখলে আপনাকে দারোয়ান দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। এর পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), নওগাঁ স্যার বিরোদা রানী রায় এর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আমাকে বলে দেখা করতে হবে না আমাকে ২০.০০০/= (বিশ হাজার) টাকা ঘুষ দিতে পারবেন দিলে বলেন আপনার পক্ষে কাজ করবো। অন্যথায় এ অফিসে আর আসবেন না আসলে মান অপমান করবো। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার অপজিট পক্ষের নিকট হতে টাকা খেয়ে তার পক্ষে কাজ করবে এবং স্যারের সাথে দেখাও করতে পারবেন না। এবিষয়ে ঘটনার স্বাক্ষী সবুজ হোসেন সহ আরও দুইজন সম্পন্ন ঘটনা জানেন। এছাড়াও তিনি বলেন, আমি একজন শিক্ষক মানুষ আমার সঙ্গে এমন আচরণ কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা জন্যই ন্যায় বিচার চেয়ে আপনাদের নিকট আকুল আবেদন করছি। আমার সকল দিক বিবেচনা করে শিক্ষা ও আইসিটি শাখার সি এ মোঃ শরিফুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
শিক্ষা ও আইসিটি শাখার সি এ মোঃ শরিফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আসলে এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, আমি কোন খারাপ আচারণ ও কোন কিছুই করিনি যেহেতু অভিযোগ করেছেন দেখি আমি আমার স্যার এর সাথে কথা বলি।
জেলা প্রশাসক মো: গোলাম মওলা বলেন, আমি এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।