দেশের বেহাল ক্রীড়াঙ্গনের পরিবর্তনে কাজ শুরু করেছেন তরুণ ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারুণ্যের এই জয়গান আর সংস্কারের ডাক দুর্নীতিমুক্ত ও উন্নত ক্রীড়াঙ্গন গড়তে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা সাবেক খেলোয়াড়দের। প্রতিটি ফেডারেশন থেকে দুর্নীতিগ্রস্তদের অপসারণ ও নির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব বলেও প্রত্যাশা তাদের। আর কোনো রাজনৈতিক প্রভাব যেন ক্রীড়াক্ষেত্রে না পড়ে, নবনিযুক্ত ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রতি সেই আহ্বান ক্রীড়াপ্রেমীদের।
এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার। এ কথারই প্রতিফলন সম্প্রতি ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান। সে ধারায় বড় পরিবর্তন দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে। তারুণ্যের জয়গানে নতুন বাংলাদেশের অঙ্গীকার নিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তলানিতে থাকা ক্রীড়াঙ্গণের সংস্কারে তরুণ উপদেষ্টার দায়িত্বপ্রাপ্তি দেখাচ্ছে আশার আলো।দিনের পর দিন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফেডারেশনের চেয়ার আকড়ে ধরে থাকা হর্তাকর্তাদের অপসারনের মাধ্যমেই সূচনা হবে নতুন ক্রীড়াঙ্গনের। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন যথাযথ তদারকি ও নির্দিষ্ট নীতিমালার। আর সেসব পরিবর্তন আসুক তারুণ্যের হাত ধরেই। নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টার সংযুক্তি নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে প্রত্যাশা দেশের ক্রীড়াবিদদের। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস সাবেক ফুটবলারদের।
বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার। এখন তারা যুদ্ধে নেমেছে, এটা সফল হতেই হবে। তাদেরকে অভিনন্দন। যেভাবে তিনি (আসিফ মাহমুদ) দেশে বিরাট এক পরিবরত্ন এনে দিয়েছেন, আমরা চাই ক্রীড়াঙ্গনেও সুন্দর আবহাওয়া বয়ে যাবে। তিনি প্রতিটা ক্লাব ভিজিট করুক, দেখুক কি অবস্থায় আছে ক্লাবগুলো। এই জায়গাগুলোতে তিনি কাজ করতে পারেন, তাহলে আবার আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। আমার চাওয়া সমস্ত জেলায় যেন ফুটবল লিগটা বাধ্যতামূলক করা হয়।’
বাংলাদেশের আরেক সাবেক ফুটবলার আব্দুল গাফফার বলেন, ‘আশা করি সে ভালো করবে। রাজনীতি মুক্ত একটা ক্রীড়াঙ্গন আমরা দেখতে চাই। নতুন নীতিমালা তৈরি করতে হবে। সেটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ফেডারেশন পর্যন্ত। এবং কীভাবে নির্বাচন হবে এবং ফেডারেশনগুলো তৈরি হবে এবং কীভাবে দুর্নীতিমুক্ত ফেডারেশন তৈরি হবে সেটা তার কাছে থাকতে হবে। তরুণ খেলোয়াড় যারা আছে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। যে ধরনের সহযোগিতা তিনি চাইবেন সেভাবেই আমরা হাত বাড়িয়ে দিব।’
নতুন বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গন হবে পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত, পরিবর্তন আসবে ফেডারেশনগুলোর চেয়ার আকড়ে থাকা দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের পদেও। নবনিযুক্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা ক্রীড়াপ্রেমীদের। মাঠের খেলায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের হাতেই তুলে দেয়া হোক ফেডারেশনগুলোর দায়িত্ব।
নিউজ২১/রি.