কর্মকর্তাদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর ও আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান সরকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপদেষ্টা গভর্নর বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা।
জানা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল তাদের জানানো হয়, আজ দুপুর একটার মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী, আজ সকালে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান ও মো. খুরশীদ আলম। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাসও তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের পদত্যাগপত্র দিয়েছেন গভর্নর বরাবর।
এ বিষয়ে মো. খুরশীদ আলম জানান, ‘সরকার থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে, পদত্যাগ করতে হবে। সে জন্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমার নিয়মিত চাকরির বয়স এখনো শেষ হয়নি। ডেপুটি গভর্নর পদে যোগ দিয়ে মনে হচ্ছে, ভুল করেছিলাম।’
সরকার পরিবর্তনের পর গত বুধবার বিক্ষুব্ধ একদল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা ও আর্থিক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেন।
একপর্যায়ে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ভবনে অবস্থিত গভর্নরের ফ্লোরে ঢুকে পড়েন এবং একজন ডেপুটি গভর্নরকে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করেন। অন্যদের বের করে দেওয়া হয়। এরপর তারা আর ব্যাংকে যাননি। আজ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
ব্যাংকটির বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের দাবি, ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব শীর্ষ কর্মকর্তা দায়ী; তারা দায়িত্বে থাকলে ব্যাংক খাতে সুশাসন ফিরবে না।
নিউজ২১/রি.