শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করায় জাতীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীদের প্রস্তাবিত সরকারের কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ৯টায় আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকারের রূপরেখার প্রস্তাব ঘোষণা করবেন তারা।
এদিন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের সমন্বয়কদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারিনি বলেই পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকারের রূপরেখার প্রস্তাব ঘোষণা করতে পারিনি। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়কেরা বলেন, বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমরা একটা কমিটি করবো। তবে লক্ষ্য থাকবে ফ্যাসিবাদীদের দোসর-সমর্থক কেউ সেই জাতীয় সরকারে থাকতে না পারেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটার পর রাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়কেরা বাংলাদেশের সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়ে বলেন, দেশে যাতে আর কখনো ফ্যাসিবাদী, স্বৈরতান্ত্রিক বা আরেকটি শেখ হাসিনার জন্ম না হয়, সেই ব্যবস্থা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
নিজেদের দাবি সম্পর্কে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই গত ১৬ বছরে যত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে কারান্তরিণ করা হয়েছে, তাদের মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে।
সমন্বয়কেরা বলেন, তারা দেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে চান। সবকিছুর পুনর্গঠন করা হবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে হবে।
নিঊজ২১/রি.