সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে। বিশেষ করে আমাদের মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা এবং একাত্তরের গণহত্যাকারীদের পক্ষে সাফাই গাওয়া এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের যে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান, সেই ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমাদের নেতাকর্মীরা সমবেত হবেন। সেখান থেকে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা নৈরাজ্য তৈরি করতে চায়, রাজাকারদের তোষণ করার রাজনীতি বাংলাদেশে যারা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা অনেক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছি, বিনয়ের পরিচয় দিয়েছি, যৌক্তিক পরিকল্পিত উপায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু আজ আমরা মনে করি যে, আন্দোলনকে কন্ট্রোল করছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা লালন করে না তারা। তাদের হাতেই আন্দোলনের রিমোট কন্ট্রোল চলে গেছে।
সাদ্দাম বলেন, এ জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজনৈতিকভাবে এটি (কোটা সংস্কার আন্দোলন) মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যারা নৈরাজ্য করবে, রাজাকারদের তোষণ করার রাজনীতি বাংলাদেশে যারা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে, আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছি সাংগঠনিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এটি মোকাবিলা করার জন্য।’
এ ছাত্রনেতা বলেন, “যারা আজও বাংলাদেশে থেকেও ‘আমি রাজাকার’ বলার হিম্মত দেখায়, তাদের শেষ দেখিয়েই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়বে।”