ঢাকার ডিএমপি হাতিরঝিল থানার চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী জহির উদ্দিন জয়কে গ্রেফতার করে র্যাব-৮।
রবিবার (৭ জুন)দিবাগত রাত পৌনে ১টায় বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার সোনামিয়ার পোল বাজার, আলী ইফান মাদ্রাসা সড়ক, কোনাবাড়ী হতে র্যাব-৮, বরিশাল সদর, এবং র্যাব-২ এর সিপিসি-৩, ঢাকা কোম্পানী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক জহির উজিরপুর ভবানীপুর গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে। উল্লেখ্য, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও ভিডিও অনলাইনে ছড়াবেনা মর্মে আশস্ত করে বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মোট ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং ভিকটিমকে নিয়ে কক্সবাজার সদর থানার ‘আমারী’ রিসোর্টে নিয়ে যায়।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের শান্তি শৃংখলা রক্ষায় বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে র্যাব সবসময়ই অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। এপ্রেক্ষিতে সর্বদাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডাকাতি, ছিনতাই, নাশকতা, অপহরণ,ধর্ষণ, ও অন্যান্য অপরাধ বিরোধী অভিযানসহ চাঞ্চল্যকর মামলার আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখে দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে র্যাব। মহাপরিচালক র্যাব ফোর্সেস মহোদয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা মোতাবেক র্যাব ব্যাটালিয়ন সমূহ আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সর্বাত্মক ভাবে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।ভিকটিম আসামীর প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া হওয়ার সুবাদে গত ২০২৩ সালের জুন মাসের ১০ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০.টায় ভিকটিমের ৫ বছরের মেয়েকে চিপস এর প্যাকেট দিয়ে নিজের রুমে নিয়ে ভিকটিমকে তার মেয়েকে নেয়ার জন্য ডেকে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আসামী কৌশলে তার মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় আসামী ভিকটিমকে উক্ত ভিডিও তার পরিবার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করে ও নগদ অর্থ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সর্বশেষ গত চলতি বছরের ৪ জুন ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও ভিডিও অনলাইনে ছড়াবেনা মর্মে আশস্ত করে বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মোট ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং ভিকটিমকে নিয়ে কক্সবাজার সদর থানার ‘আমারী’ রিসোর্টে নিয়ে যায়। অতঃপর ভিকটিমকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং সংগে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম বাদী হয়ে ডিএমপি, ঢাকার হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করে যার মামলা নং ১৭, তারিখ-০৬/০৬/২০২৪। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ডিএমপি, ঢাকার হাতিরঝিল থানায় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য চাঞ্চল্যকর মামলার আসামীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে সারা দেশব্যাপী র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে।
অতঃপর ভিকটিমকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং সংগে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়।পরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে হাতিরঝিল থানায় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।