পিকনিক করবেন বলে শখ করে ঘোড়া কিনে আনান মহিউদ্দিন চৌধুরী। লোকজন দিয়ে জবাই করে রান্নাও করা হয়। আয়োজন করে সেই মাংস খাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বাধে বিপত্তি। সমালোচনার ঝড় উঠে এলাকায়।
এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মানববন্ধনও করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে যারা মাংস খেয়েছিলেন তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এখন এলাকা ছাড়া। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নের চড় পেঁচাকোলা গ্রামে।
গত ২৯ জুন বেড়া শাহা পাড়ার মহিউদ্দিন চৌধুরী স্থানীয় মানিক হোসেন, আব্দুস সোবহান, হিরো আলমসহ কয়েকজনকে ঘোড়া কিনে আনতে বলেন। তারা এক হাজার টাকা দিয়ে একটি ঘোড়া কিনে হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের চড় পেঁচাকোলা নদীর পাড়ে উল্লাস করে সেটি জবাই করেন। জবাই ও রান্নার ভিডিও ধারণ করে সবাই মিলে সেই মাংস খান এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এরপরই শুরু হয় সমালোচনা। মুসল্লিদের মধ্যে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। মঙ্গলবার পেঁচাকোলা চার মাথা মোড়ে এলাকার মুসল্লি ও স্থানীয়দের অনেকেই এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
হাটুরিয়া চারমাথা বাজারের ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, যার নির্দেশে ঘোড়ার মাংস রান্না হয়েছে এবং যারা খেয়েছেন তাদের সবার শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মডেল মসজিদের ইমাম মোস্তফা কামাল ও বেড়া শাহ্ পাড়া মাসজিদের ইমাম শাহারিয়ার বিন জাকারিয়া বলেন, হাদিস শরীফে ঘোড়ার মাংস খাওয়ার পক্ষে–বিপক্ষের দুই ধরনেরই বক্তব্য আছে। তাই এর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকলেই ভালো।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চড় পেঁচাকোলা এলাকায় ঘোড়া জবাই করে মাংস খাওয়ার ভিডিও দেখেছি। এতে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আমি ধর্মীয় বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে আমাদের দেশে ঘোড়া সংখ্যা কম। এভাবে এর মাংস খাওয়া শুরু হলে এ প্রাণী বিলুপ্তির পথে চলে যাবে। তাই আমি ঘোড়ার মাংস খেতে নিরুৎসাহিত করব।