জলবায়ু বিজ্ঞানীরা ঘূর্ণিঝড়ের দ্রুত শক্তি অর্জনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য অপরাধী হিসাবে মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনকে উল্লেখ করেছেন।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হারিকেন বেরিলের আঘাতে গ্রেনাডায়, গ্রেনাডাইনের সেন্ট ভিনসেন্ট এবং উত্তর ভেনিজুয়েলায় মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ভেনেজুয়েলায় পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
গ্রেনাডার প্রধানমন্ত্রী ডিকন মিচেল জানান, ঝড়ের আঘাতে ক্যারিয়াকো দ্বীপটি পুরো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বাড়িঘর, টেলিযোগাযোগ এবং জ্বালানী সিস্টেম মাটির সাথে মিশে গেছে। তিনি আরও জানান, দ্বীপে বাড়িঘর এবং ভবন প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। দ্বীপের সড়কগুলো যাতায়াতের যোগ্য নয়।
অন্যদিকে সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনের, প্রধানমন্ত্রী রাল্ফ গনসালভেস জানিয়েছে তার দ্বীপে হারিকেনটি প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, মাইরেউ এবং ক্যানুয়ান দ্বীপপুঞ্জে “বিধ্বংসী মাত্রার তাণ্ডব চালিয়েছে হারিকেন বেরিল।
দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবিয়ানে আঘাত হানা সর্বশেষ শক্তিশালী হারিকেন ছিল ২০ বছর আগে অর্থাৎ, ২০০৪ সালের হারিকেন ইভান। সেই ঝড়ে গ্রেনাডায় কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।
ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইতিমধ্যে পুর্বাভাস দিয়েছে যে, চলতি বছর হারিকেন মৌসুমে (১ জুন থেকে ৩০ নভেম্বর) গড়ে ১৭ থেকে ২৫টির মধ্যে ঝড় তৈরি হবে।