শিরোনাম
আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা সুমন খান তিস্তা টোল প্লাজায় আটক: একাধিক মামলা ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত খালেদা জিয়াকে শিগগিরই চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হবে সদরপুরে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, ৪ জনকে জরিমানা অবশেষে জামিন পেলেন কোটালীপাড়ার দিনমজুর জামাল মিয়া কুষ্টিয়া পুলিশের পৃথক পৃথক অভিযানে ১৫৫ বোতল ফেনসিডিল সহ দুই মাদক কারবারি আটক বাঞ্ছারামপুর প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে শামীম শিবলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) উদ্যোগে নদী ভাঙন পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান ভাঙ্গায় ট্রেনে কাঁটা পড়ে বৃদ্ধার মৃ/ত্যু রূপগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশ রূপগঞ্জে পদত্যাগ করা শিক্ষককে অর্থের বিনিময়ে ফেরাতে বিক্ষোভ লালমনিরহাটে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা সক্রিয়করণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত পূর্বাচলের লেকপাড়ে খন্ডিত লা/শ উ/দ্ধার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কৃষ্ণ বসাকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে হয়রানির অভিযোগ ও পরিবারকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন কুষ্টিয়া র‍্যাবের অভিযানে চাঞ্চল্যকর ঝিনাইদহের ২ কোটি টাকার স্বর্ণ ছিনতাই মামলার আসামি গ্রেফতার রূপগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা : দিপু ভইয়া নসিমনের সঙ্গে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মাদ্রাসা ছাত্র নিহত,আহত ১ কোটালীপাড়ায় ৩ পাখি শিকারীকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত কুষ্টিয়া যৌথ বাহিনীর অভিযানে বাক প্রতিবন্ধী অপহরণ মা/মলার প্রধান আসামি  গ্রে/ফতার ভাঙ্গায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত- ৩০ লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে ৪ শ্রমিকের মৃত‍্যু
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন

যশোরে সুবিধাজনক অবস্থানে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার

তাজউদ্দীন আহম্মেদ বাঁধন, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
আপলোড সময় : বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

যশোর মনিরামপুরের স্কুল-মাদরাসায় নিয়োগ বাণিজ্য, কমিটি নিয়ে ৭০ মামলা। যত দ্বন্দ্ব মনিরামপুরের বেসরকারী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসাগুলোতে।

নিয়োগ বাণিজ্য, ম্যানিজিং কমিটি আসতেই সুবিধা ভোগীদের লবিং গ্রুপিং এ শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত মান তলানিতে যাওয়ার উপক্রম হতে চলেছে। সুবিধা ভোগীদের এ লবিং গ্রুপিং এর সুযোগে ফায়দা লুটছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার। এ সুবিধা নিতেই উপজেলার ওই অফিসটিতে টানা ৬ বছর অবস্থান করছেন তিনি। উপজেলার এমপিও ভূক্ত ১১৮টি মাধ্যমিক ও ৬৪ টি মাদ্রাসায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে সৃষ্ট তিন পদ নিরাপত্তা প্রহরী, অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্ন কমী এর বিপরীতে প্রায় ৫’শতাধিক কর্মচারী ছাড়াও প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগ অব্যহত রয়েছে।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানাগেছে, যে কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে পদ প্রতি ১৫ লাখ টাকা, প্রধান শিক্ষক ১০ লাখ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ১০/১২ লাখ ছাড়াও ল্যাব সহকারী পদে ১৫ লাখ টাকা নেওয়া রেওয়াজ রয়েছে। তবে, বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন অর্থ পেয়েছে এমন নজির চোখে পড়েনি। সূত্র জানিয়েছে, এসব নিয়োগ বাণিজ্যের অধিকাংশ অর্থই ম্যানেজিং কমিটির সুবিধাভোগীদের মাঝেই ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে আসছে। বিকাশ চন্দ্র সরকার ২০১৮ সালে পহেলা আগষ্ট মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে নিয়োগ বাণিজ্যের অর্থের নিধারিত একটি অংশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকারকে দিতে হয়। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিয়োগ বোর্ড করতে কর্মচারী পদে শিক্ষা অফিসারকে সর্ব নিন্ম ৫০ হাজার ক্ষেত্র বিশেষ লাখ টাকাও দিতে হয়। চাহিদা মত অর্থ যোগান না দিতে পারলে বেতন বিল ধরানোর ক্ষেত্রে বিড়ম্বণার শিকার হতে হয়।
টানা ৬ বছরে এসব অর্থ দিয়েই তিনি যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকায় বিলাশ বহুল ভবন নির্মানসহ অর্থবৈভবের মালিক বনে গেছেন ওই কর্মকর্তা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে একাধীক মামলার বিবাদী হয়েছেন মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার। উপজেলার “বোয়ালীঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের” সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে আলোচিত ভূয়া নিবন্ধনধারী শিক্ষক আব্দুল মালেক এর নিয়োগ নিয়ে গত ২৩ মে আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। যার নং-৪৬৭/২৪।
এ মামলার বাদী বোয়ালীঘাট উত্তরপাড়া গ্রামের মোস্তফা জামান মিলন।
মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮লাখ টাকা বিনিময়ে ল্যাব সহকারী পদে নয়ন মন্ডল নামে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ এনে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানের্জিং কমিটির সদস্য আলী আজম বাচ্চু বাদী হয়ে ৯ জুন আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৩৬/২৪।
এসব মামলায় বিবাদী করা হয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকারসহ নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য ও কমিটি গঠন নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা অবস্থা বিরাজ করছে। এ কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা দূর্বল অবস্থানে দিকে যাচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক শিক্ষক বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যের এসব অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন কাজে আসছে না। বরং এক শ্রেণীর সুবিধা ভোগী ব্যক্তিরা হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। যে কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে কমিটি গঠন করতেও হিমশিম খাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক সহ কমিটি গঠন কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন বলেন, বিদ্যালয় গুলোর ম্যানের্জিং কমিটির ব্যক্তিরা ভাল প্রার্থীকে নিয়োগ না দিলে সেক্ষেত্রে শিক্ষা অঙ্গনে কিছুটা প্রভাব পড়ে। নিয়োগ বাণিজ্যের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি আগে নিয়োগ বাণিজ্য হত, তবে এখন হয় কিনা জানা নেই।
মনিরামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু বলেন, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন নিয়ে মামলা হয়েছে। অতি গোপনে নিয়োগ বোর্ড করা হয়েছে যা আপত্তিকর। আগামীতে এধরনের কর্মকান্ডের সুযোগ দেওয়া হবে না।
মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, তিনি নিজেকে দুর্নীতি মুক্ত দাবী করে বলেন, নিয়োগে যারা বাণিজ্য করে তারা তো করেই। যেখানেই নিয়োগ আছে, সেখানে কমিটি করতে গেলেই মামলা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের নির্ধারিত মিটিংয়ে জরালো ভাবে আলোচনা হয়েছে। এ উপজেলার ৭০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও ম্যানিজিং কমিটি গঠন নিয়ে মামলা হয়েছে। আর এসব মামলার কারণে শিক্ষা অঙ্গনে স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়ছে। এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, পৈত্রিক নিবাস ঝিনাইদাহে। তবে যশোর শহরে নতুন একটি বাড়ি করে সম্প্রতি সেখানে বসবাস করছি।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃএই বিষয়ে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে তাদেরকে অর্থের অফার দেওয়া হয়।

 


এই বিভাগের আরও খবর