যশোর জেলা আওয়ামীলীগ’র সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও তার ছেলে সামির ইসলাম পিয়াস মিথ্যা হয়রানি থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাব হলরুমে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের নেতা সাবেক এমপি এ্যাড. মনিরুল ইসলাম, এ এস এম হুমায়ুন কবীর কবু, অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ, ফিরোজ খান ও বিরোধীয় সম্পত্তির প্রকৃত মালিক দাবিদার নুর মোহাম্মদ, নুরুল ইসলাম মাষ্টারসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগ’র সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, যশোরের হামিদপুর পশ্চিমপাড়ায় বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের যে ঘটনা ঘটেছে সেটি একেবারেই সাজানো। কার্যত তিনি ওই জমির কোন পার্ট নন। তার আত্মীয় নূরুল ইসলাম ও নুর মোহাম্মদ ওই জমির প্রকৃত মালিক এবং তারা ট্যাক্স দিয়ে চলেছেন। জমির দখলদারিত্বে থাকা আসাদুজ্জামান একজন ভূমিদস্যু। বয়বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম মাষ্টার ও নূর মোহাম্মদ’র পরিবারের লোকজনকে হেনস্তা করে ভয়ভীতি দেখিয়ে উক্ত জমি দীর্ঘদিন জবর দখল করে আছেন। ঘটনার ব্যাপারে তার এবং ছেলের নাম জড়িয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রচারসহ থানায় অভিযোগও করা হয়েছে। মিথ্যাচারের একটা শেষ থাকে। আসাদুজ্জামান পরিবারের সদস্যরা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে দাবি করেন, এটা ভুয়া। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য কিংবা সন্তান জুড়ে দিয়ে চরম মিথ্যাচার করছেন। এ নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে। সম্প্রতি যশোরের অনেক মুক্তিযোদ্ধা ওই সম্পত্তি থেকে আসাদুজ্জামন গংকে উচ্ছেদ করে নুরুল ইসলাম ও নূর মোহাম্মদ কে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আসাদুজ্জামন গং নিজেরাই এক্সেভেটর এনে বাড়ি ভাঙচুর করে নানা কল্পকাহীনি সাজিয়ে তাকে ও তার ছেলে পিয়াসের নাম জড়িয়ে তাদের সম্মান হানি ঘটিয়েছে। ওই দিন ঘটনাস্থলে থাকাতো দুরের কথা শহরের চৌরাস্তা এলাকা পার হয়েছেন এমন প্রমাণ যদি কোন সাংবাদিক দিতে পারেন, তাকে ২০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেবেন। এছাড়াও তার ছেলে পিয়াস ওই দিন ঘটনাস্থল এলাকায় ছিলেন এটা প্রমাণ করতে পারলে আরো ১৫ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেবেন বলে ঘোষণা দেন। তাছাড়াও আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলের জমি ও বাড়ির এক শতকেরও যদি কাগজপত্র দেখাতে পারেন, সেখানেও ১০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।