নওগাঁর সদর উপজেলার মুনসুর ও যমুনী ফতেপুর বিল সরকারি খাঁস সম্পত্তি জলমহাল অবৈধ দখল ও খননকারীদের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১জুলাই) বেলা ১২ টায় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শতাধিক মৎস্যজীবীদের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে সকল মৎজীবীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করতে যায়।
মানববন্ধনে মো. আব্দুর রহমান এর সভাপতিত্বে ঘন্টা ব্যাপী সমাবেশে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এস এম আজাদ হোসেন মুরাদ, মোসলেম উদ্দিন, তোমসের, সাইদুর রহমান, ইসলাম আলী, ইব্রাহিম মোল্লাসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, জেলার সদর উপজেলাধীন দুবলহটি, হাসাইগড়ী, বলিহার, শিকারপুর এর হত দরিদ্র মৎজীবি পরিবার। দুবলহাটি শৈলগাছী ইউনিয়নের মধ্যেবর্তী গুন্ডি বিল মুনসুর ও যমুনী ফতেপুর বিল উক্ত বিল দুইটির জলাশয়ের পরিমান ৫১৭ একর সরকারি খাঁস সম্পতি,জলমহাল। উক্ত জলাশয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রায় ১২/১৪ হাজার মৎস্যজীবি সম্প্রদায়, যাদের জীবন জীবিকা একমাত্র সবলম্বন মৎস্য আহরণ ও বাজার জাত করণ।
দেশ স্বধীন হওয়ার পরে প্রথমে এই বিশাল মৎস্য জীবি সম্প্রদায়ের উন্নয়নের লক্ষে সকল জলাশয় কেবল মাত্র মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির মাধ্যমে মৎস্যজীবিদের মধ্য ইজারা ব্যবস্থা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পরবর্তীতে ইজারা প্রথা বাতিল করে জাল যার জলা তার মৎস্য জীবি অধিকার নীতিমালা বাস্তবায়ন করে ভরাট জলাশয় গুলো সরকারি ভাবে খনন করা হয়েছে। জলাশয় গুলি মৎস্যজীবি সম্প্রদায়কে বন্দবস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রভাবশালী বাক্তি উক্ত নীতিমালার অপবাখ্যা দিয়ে উল্লেখিত জলাশয়ের জমিগুলো সনামে বেনামে বন্দবস্ত নিয়ে ইচ্ছা মতো পুকুর খনন করে জবর দখল করে নিয়েছেন। ফলে প্রকৃত মৎস্যজীবিদের জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রকল্পের সুফল হতে বঞ্চিত হয়েছে। ইতিমধ্য জীবন বাঁচানোর তাগিদে অনেকেই তাদের পৈত্রিক পেশা ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বিধায় জরুরী ভাবে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে সরকার যাদের জন্য জাল যার জলা তার প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। সেটাকে বাস্তবায়ন করে মৎস্যজীবি সম্পদায়ের জীবন জীবিকার জন্য সুব্যবস্থার দাবি জানান।