বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের বাদলপাড়া বাজারের মুদি মনোহারি ব্যবসায়ী দুলাল হাওলাদারকে ফাঁসাতে একের পর এক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অবকৌশল অবলম্বন করছে কনক রানী নামের এক হিন্দু মহিলা। বিষয়টি জানতে পেরে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি)
দায়ের করে ব্যবসায়ী দুলাল। বাকিতে সদায় বিক্রি করে এবং জমি কেনার জন্য টাকা ধার দেওয়ার ঘটনায় তাকে হয়রানি চেষ্টা করে যখন ব্যর্থ হয়েছে তখন তাকে বিতর্কিত করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এই চক্রটি। ব্যবসায়ী দুলাল নিউজ টোয়েন্টি ওয়ান বাংলা টেলিভিশনের কাছে অভিযোগ করে বলে, তাকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে কনক রানী নামের এক হিন্দু মহিলা। অভিযোগ উঠেছে, হিন্দু কনক রানী ব্যবসায়ী দুলালের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বাকিতে ৬০ হাজার ৬ শত টাকার সদায় নেয় এবং ধার বাবদ ২৭ হাজার টাকা নেয়। টাকা ধার নিয়ে বিভিন্ন সময় দি দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে ব্যবসায়ী দুলাল বাকিতে সদায় দেওয়া বন্ধ করলে কনক রানী ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে। টাকা দেবেনা বলে হুমকি দেয়। কনক রানীর কাছে ব্যবসায়ী দুলাল টাকা চাইলে ব্যবসায়ী দুলালের দোকানে গিয়ে জুতা দিয়ে দুলাল কে মারধর করে এবং উল্টো থানায় তার বিরুদ্ধে কনক রানী অভিযোগ দিয়ে ফাঁসাতে চেষ্টা করে। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে যে কনক রানী অভিযোগ মিথ্যে।থানায় অভিযোগ দিয়ে ব্যবসায়ী দুলালকে ফাসাতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে আদালতে নালিশি মামলা করে। সরে জমিনে শুক্রবার বাদলপাড়া বাজারে গেলে সাংবাদিকদের কাছে ব্যবসায়ীরা কনক রানীর অসভ্যতা বেহায়াপনা অতিষ্ঠ পুরো বাজারের ব্যবসায়ীরা তারা অভিযোগ করে বলে, দোকান থেকে বাকি খেয়ে টাকা চাওয়ায় দুর্ব্যবহার মারধর করে আমরা কোন প্রতিবাদ করতে পারি না কারণ তিনি একজন মহিলা সে সবসময়ই নারী নির্যাতন মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। তার ভয়ে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত থাকি। সংখ্যালঘুর তকমা লাগিয়ে পুরো বাজারে পরিবেশ বিশৃঙ্খল করে ফেলে। সে সদায় নিয়ে ব্যবসায়ীদেরকে টাকা দেয় না টাকা চাইলে ব্যবসায়ীদের সাথে খারাপ ব্যবহার গালাগালি করে। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। দুই একজন প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী দুলাল বাকেরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যাহার নং ১২৩৩ তারিখ ২৫ /০৫/২৪। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২ সনের ২০ অক্টোবর বিকেলে বাদল পাড়া বাজারে বসে কথাবার্তার মাধ্যমে জমি ক্রয়ের নামে ব্যবসায়ী দুলালের কাজ থেকে নগদ ২৭ হাজার টাকা ধার নেয় রনজিৎ শীলের স্ত্রী কনক রানী, রনজিৎ শীলের পুত্র সনজিৎ শীল এবং ব্যবসায়ী দুলালের দোকান থেকে বিভিন্ন সময় ৬০ হাজার ৬শত টাকার নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মুদি মালামাল বাকিতে নেয়।
কনক রানীর কাছে ব্যবসায়ী দুলাল সর্বমোট ৮৭ হাজার ৬শত টাকা পায় এই পাওনা টাকা চাইতে গেলে ব্যবসায়ী দুলালকে লাঞ্ছিত, মারধর মিথ্যে মামলা সহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে কনক রানী। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি সমুদায় পাওনা টাকা চাইতে গেলে ব্যবসায়ী দুলালকে বাদলপাড়া বাজারে দুলালের দোকানে গিয়ে টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। প্রতারক কনক রানিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় বাদলপাড়া ব্যবসায়ীরা।