চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত স্পিরিট পান করে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজনের মরদেহ আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করার কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকার চারটি গ্রাম থেকে চারটি মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এসব মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হবে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মৃতদের মধ্যে পিরোজখালি গ্রামের লাল্টু হোসেন (৫২), খেজুরা গ্রামের মোহাম্মদ সেলিম (৪৫), নফরকান্দি গ্রামের খেদের আলী (৪০) ও শংকরচন্দ্র গ্রামের শহিদুল মোল্লা (৪৫)।
পুলিশ জানায়, গত ৯ অক্টোবর ডিঙ্গেদহ এলাকার কয়েকজন শ্রমিক একসঙ্গে মদ পান করেন। এরপর ১১ অক্টোবর চারজন অসুস্থ হয়ে মারা যান এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। পরদিন ১২ অক্টোবর আরও তিনজন মারা গেলে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. হোসেন আলী জানিয়েছেন, উত্তোলিত মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।