২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯৯.৯১% পাশ, জিপিএ–৫ পেয়েছে ৪২৩ জন
‘অর্জন আমাদের অভ্যাস, শ্রেষ্ঠত্ব আমাদের ঐতিহ্য।’
এই মূলমন্ত্রকেই বাস্তবে রূপ দিয়েছে দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি ৯৯.৯১% পাশের পাশাপাশি ৪২৩ জন শিক্ষার্থীর জিপিএ–৫ প্রাপ্তির মাধ্যমে গড়েছে নতুন ইতিহাস।
রাজধানীর অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাবনীয় সাফল্যকে দেশের শিক্ষাবিদরা দেখছেন “একটি অনুকরণীয় মাইলফলক” হিসেবে।
প্রিন্সিপাল ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন,
> “এটি কেবল একটি পরীক্ষার ফল নয়—এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত পরিশ্রমের প্রতিফলন। আমরা কেবল পাঠ্যজ্ঞান নয়, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ গড়ার চেষ্টা করি—যারা ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে।”
সাফল্যের এই পেছনে রয়েছে দৈনন্দিন একাডেমিক ফলো–আপ, নিয়মিত মডেল টেস্ট, শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ এবং আধুনিক শিক্ষণ–পদ্ধতির প্রয়োগ। শিক্ষক–অভিভাবক–শিক্ষার্থীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই এই অর্জনের মূল ভিত্তি।
একজন অভিভাবক আবেগভরে বলেন,
> “এখানে শুধু বইয়ের শিক্ষা নয়—সন্তানদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার শিক্ষা দেওয়া হয়, যা সামসুল হক খানের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
ধারাবাহিক সাফল্যের ধারা বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েক বছর ধরে প্রায় শতভাগ পাশের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে—
২০২৫ সালে: ৪২৩ জন জিপিএ–৫
২০২৪ সালে: ৮১২ জন জিপিএ–৫
২০২৩ সালে: ৭৫৮ জন জিপিএ–৫
প্রাইমারি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাফল্য গগণচুম্বী। ২০১৫ সালে এসএসসিতে ও ২০০৭ সালে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি।
কেবল একাডেমিক নয়, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষে—জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে ২০১৭ সাল থেকে টানা পাঁচবার জাতীয়ভাবে শ্রেষ্ঠ স্কাউট গ্রুপ নির্বাচিত হয়েছে।
যেখানে সারাদেশে গড় পাসের হার মাত্র ৫৮.৮৩%, সেখানে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯৯.৯১% পাশ গুণগত শিক্ষার নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
এই অর্জন প্রমাণ করে—
সাফল্য তাদের জন্যই, যাদের প্রচেষ্টা অবিচল, মনোযোগ অটুট এবং লক্ষ্য স্বপ্নের চেয়েও বড়।
সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই দীপ্ত সাফল্য হয়ে থাকবে আগামী প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর।