কুলাউড়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র রবিরবাজার। প্রায় দুই কিলোমিটার বিস্তৃত এ বাজারটি উপজেলার সর্ববৃহৎ বাজার। এখানে দেড় সহস্রাধিক দোকান ছাড়াও ব্যাংক, বীমা কোম্পানির অফিস রয়েছে। কিন্তু বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় খানাখন্দে বেহাল সড়কে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ক্রেতা, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে পৃথিমপাশা ইউনিয়ন থেকে কর্মধা ইউনিয়নমুখী সড়কের পূর্ব রবিরবাজার অংশে চলাচলে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, আয়তন, অবস্থান, রাজস্ব আয় সব মিলিয়ে কুলাউড়া পৌর শহরের পরই রবিরবাজারের অবস্থান। উপজেলার রাউৎগাঁও, পৃথিমপাশা, কর্মধা, টিলাগাঁও, হাজীপুর ও শরীফপুর– এ ছয় ইউনিয়নের মিলনস্থলে অবস্থিত রবিরবাজার। এই বাজার হয়েই মানুষকে আসতে হয় উপজেলা সদরে। এ বাজারে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। এ ছাড়া প্রতিদিনই শহরের মতো খোলা থাকে দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান। জেলার সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী মসজিদটিও এ বাজারে অবস্থিত। প্রতি শুক্রবার কয়েক হাজার মুসল্লির সমাগম ঘটে এখানে। কিন্তু বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও অপ্রশস্ত সড়কের কারণে মুসল্লিদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ ছাড়া এখানে একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পৃথিমপাশা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীদের যেন ভোগান্তির সীমা থাকে না।
রবিরবাজার ব্যবসায়ী সমিতির মাসুক আহমদ জানান, ড্রেন না থাকায় বাজারের পানি সহজে নিষ্কাশন হয় না। ফলে বৃষ্টির সময় বাজারে যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তা সহজে কমে না। পানি, কাদায় অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় বাজারে। এরই মধ্যে পূর্ব রবিরবাজার-কর্মধা সড়কে বড় খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
পৃথিমপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জিমিউর রহমান চৌধুরী জানান, রবিরবাজারের ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ চরমে। সমস্যার বিষয়টি তিনি উপজেলার পরিষদের সমন্বয় সভায় আলোচনা করেছেন। দ্রুত সড়ক সংস্কার ও ড্রেন নির্মাণে প্রকল্প নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কুলাউড়া উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শরিফুল হক বলেন, রবিরবাজার-কর্মধা ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। অপরদিকে বাজারের প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন। এ সড়ক উন্নয়নে সওজের পক্ষ থেকে কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তাঁর জানা নেই।