খুলনার পাইকগাছায় মরা গরুর মাংস বিক্রয়ের অভিযোগে ৪ কসাইকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গত সোমবার (০৩ জুন) সকালে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে সবাইকে জেলহাজতে প্রেরণ করায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার ইসলাম কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন সাবেক আইনজীবী সমিতির বারবার নির্বাচিত সভাপতি এ্যাড,জী,এম, আব্দুস সাত্তার, সিনিয়র আইনজীবী ও পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড, এফ এম এ রাজ্জাক, এ্যাড সাইফুল ইসলাম, এ্যাড ইব্রাহিম সহ স্থানীয় জনগণ
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে উপজেলার কুমখালী গ্রামের রমেশ বৈদ্যের দুটি গরু অসুস্থ হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় একটি গরু সুস্থ হলেও অন্যটি মারা যায়। সেই মরা গরুটি রমেশ বৈদ্যের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে কিনে নেয় গড়ইখালী ইউপির আল আমিন মোড়ে কসাই ইলিয়াস গাজী ও তার সঙ্গীরা।
পরে ওই মাঠে জবাই করে ভ্যানযোগে দোকানে নিয়ে গিয়ে ৫শ টাকা দরে ২০ জনের নিকট বিক্রি করে। এলাকাবাসী বলছে মরা গরু, আর মাংস বিক্রেতা বলছে ভালো গরু, এই নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড় পরে মরা গরু জানাজানি হলে খবর পেয়ে ১০ মে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক উদয় কুমার মন্ডল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরা গরুর মাংসের প্রমাণ পেয়ে পচা মাংস জব্দ করেন ও কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করেন।
এ ঘটনায় কসাই ইলিয়াস গাজী, খানজাহান গাজী ওরফে খানজে, জাকির সানা, মোকছেদ গাজীর নাম উল্লেখ করে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩৪ ধারায় মামলা করেন। মামলায় বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের ৩ জুন আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক উদয় কুমার মন্ডল জানান- অনিরাপদ খাদ্যদ্রব্য যারা উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।