ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী পালন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। নন্দনকানন নুহাশপল্লীতে তাঁর পরিবারের স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা লেখককে স্মরণ করলেন। হুমায়ূন আহমেদের আদর্শ তরুণ প্রজন্মকে ধারণ করবার আহ্বান জানান লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালীর বাগানবাড়ি নুহাশপল্লীর লিচুতলায় শনিবার(১৯ জুলাই) দুপুরে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদ হুমায়ূন উপস্থিতিতে কবর জিয়ারত করা হয়। এসময় হুমায়ূন আহমেদের শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। কয়েকশত মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে আয়োজন করা হয় কুরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল।

প্রতিবারের‌ মতো এবারো হুমায়ুন পরিবার, তাঁর ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচু তলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে‌ রূপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা। তারা লেখকের প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান।

এই লেখক ৫০ বছর ধরে বাঙালি পাঠক সমাজকে আনন্দ দিয়েছেন এবং বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে ততদিন হুমায়ূন আহমেদ পঠিত হবে বলে জানান লেখকেরা।

কবর জিয়ারত শেষ‌ মেহের আফরোজ শাওন গণমাধ্যমকে হুমায়ূনের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। তরুণ প্রজন্মকে হুমায়ূন আহমেদের আদর্শ ধারণ করবার আহ্বান জানান তিনি।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান।

সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে এদেশের সকল ভক্ত ও অনুরাগীদের হৃদয়ে কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী পালন

আপডেট সময় : ০৬:২৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। নন্দনকানন নুহাশপল্লীতে তাঁর পরিবারের স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা লেখককে স্মরণ করলেন। হুমায়ূন আহমেদের আদর্শ তরুণ প্রজন্মকে ধারণ করবার আহ্বান জানান লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালীর বাগানবাড়ি নুহাশপল্লীর লিচুতলায় শনিবার(১৯ জুলাই) দুপুরে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদ হুমায়ূন উপস্থিতিতে কবর জিয়ারত করা হয়। এসময় হুমায়ূন আহমেদের শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। কয়েকশত মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে আয়োজন করা হয় কুরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল।

প্রতিবারের‌ মতো এবারো হুমায়ুন পরিবার, তাঁর ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচু তলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে‌ রূপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা। তারা লেখকের প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান।

এই লেখক ৫০ বছর ধরে বাঙালি পাঠক সমাজকে আনন্দ দিয়েছেন এবং বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে ততদিন হুমায়ূন আহমেদ পঠিত হবে বলে জানান লেখকেরা।

কবর জিয়ারত শেষ‌ মেহের আফরোজ শাওন গণমাধ্যমকে হুমায়ূনের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। তরুণ প্রজন্মকে হুমায়ূন আহমেদের আদর্শ ধারণ করবার আহ্বান জানান তিনি।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান।

সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে এদেশের সকল ভক্ত ও অনুরাগীদের হৃদয়ে কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ চিরকাল বেঁচে থাকবেন।