ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লায় গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর পাকিস্তানের ইসলামাবাদেও একই ঘটনা ঘটেছে। আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন, আহতের সংখ্যা ২৭। মঙ্গলবার জেলা আদালতের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ডন। ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটলো যখন ইসলামাবাদে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলছে। একইসঙ্গে রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা।
জেলা আদালতের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি জানান, বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে দুপুর সাড়ে ১২টার পর। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।
মহসিন নাকভি জানান, হামলাকারী আদালতের বাইরে প্রায় ১২ মিনিট ধরে অবস্থান করে। প্রথমে সে আদালতের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীর পরিচয় জানা যাবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আদালত ভবনের পাশের একটি গাড়ি থেকে ধোঁয়া উড়ছে। এএফপিকে আইনজীবী রুস্তম মালিক বলেন, গাড়ি পার্ক করে আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতেই গেটের কাছে বিকট শব্দ শুনতে পান। এরপরই লোকজনের ছোটাছুটি ও ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দেখেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রুস্তম মালিক আরো বলেন, ঘটনার পর আইনজীবী ও পথচারীরা এদিক-সেদিক ছুটতে শুরু করেন। আদালত প্রাঙ্গণের প্রবেশ পথে দুটি মৃতদেহ ও কয়েকটি গাড়িতে আগুন জ্বলতেও দেখা গেছে।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ উভয়ই এ ঘটনাকে আত্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছেন। এক্স-এ দেওয়া পোস্টে প্রেসিডেন্ট নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। অপরদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, আমরা বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আছি। আজকের ঘটনা একটি সতর্ক বার্তা। এমন পরিবেশে আফগান শাসকদের সঙ্গে আলোচনা সফল হওয়ার আশা করাটা অনুচিত।
সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক স্থান লালকেল্লার সামনেও গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন নিহত হন। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি সম্ভবত আন্তর্জাতিক ও আন্তঃরাজ্য সন্ত্রাসী চক্রের কাজ। ঘটনার কয়েকদিন আগে বিস্ফোরকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা জইশ-ই-মোহাম্মদ ও আনসার গজওয়াতুল হিন্দ নামের সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই চক্রের আরেক সদস্যই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের।
NEWS21 staff Musabbir khan 























