২৬ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে লক্ষ্য ছিল ১৩১ রান। কাগজে–কলমে ওয়ানডে ম্যাচ হলেও টি-টোয়েন্টির যুগে এ লক্ষ্যকে বড় বলার কোনো কারণ নেই। অস্ট্রেলিয়াও তেমনটা ভাবেনি। পার্থ স্টেডিয়ামে আজ ২৯ বল হাতে রেখে আর ৭ উইকেট বাকি থাকতেই সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে হারিয়েছে স্বাগতিকেরা।
রান তাড়ার শুরুতে অবশ্য একটু বিপদে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ১০ রানে ফিরেছেন ট্রাভিস হেড। অর্শদীপ সিংয়ের বলে ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে হর্ষিত রানার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৫ বলে করেছিলেন ৮ রান।
এরপর আরও ২ উইকেট গেলেও একবারও মনে হয়নি অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ হারতে পারে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অধিনায়ক মিচেল মার্শ একপ্রান্ত আঁকড়ে রেখে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ইনিংস ওপেন করা মার্শ ৫২ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
হেডের বিদায়ের পর ম্যাথু শর্টকে (৮) নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৪ রান যোগ করেন মার্শ। এরপর উইকেটকিপার জশ ফিলিপেকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন আরও ৫৫ রান। চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নামা ফিলিপে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান। পরে ওয়ানডে অভিষিক্ত ম্যাট রেনশ ২৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। জয়সূচক রানটা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই।
এর আগে ভারতের ইনিংস বারবার থেমেছে বৃষ্টির কারণে। প্রথম বিরতি পড়ে ৮.৫ ওভারে, তখন ভারতের স্কোর ২৫/৩। অনেক দিন পর দলে ফেরা দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রোহিত শর্মা (৮) ও বিরাট কোহলি (০) ফেরেন দ্রুতই। নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক শুবমান গিলও (১০) ফেরেন এর আগে।
খেলা আবার শুরু হলে ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৪৯ ওভারে। এরপর ১১.৫ ওভারে ভারতের স্কোর যখন ৩৭/৩, আবার বৃষ্টি। এবার ম্যাচ নেমে আসে ৩৫ ওভারে। ১৪.২ ওভার শেষে আবারও খেলা থামে, ওভার কমে আরও ৩টি। ১৬.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৫২ রান তুলতেই শেষবারের মতো বৃষ্টিতে থামে খেলা। এরপর ম্যাচ দাঁড়ায় ২৬ ওভারে। শেষ ৯.২ ওভারে ভারত যোগ করে ৮৪ রান। ইনিংস শেষ হয় ১৩৬ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৩৮ রান করেন লোকেশ রাহুল। অক্ষর প্যাটেল খেলেন ৩৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস।
ভারত ১৩৬ রান তুললেও ডিএলএস পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩১।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃহস্পতিবার, অ্যাডিলেডে।