ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সদরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে টিভিসি ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মুক্তির আগে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েল রাজধানীতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজ হল্যান্ড-মেসির গোল উৎসবের রাতে পেনাল্টি মিসে ম্লান রোনালদো ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে যা করতে হবে বাংলাদেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়েছে ৬ আরব দেশ আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে ২৩ সেনা নিহত: পাকিস্তান ঝিনাইদহ সীমান্তে ১৪ জনকে আটক করেছে বিজিবি রাবি ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলার সব আসামি বেকসুর খালাস

সেই যুবককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ

  • sharmin sanjida
  • আপডেট সময় : ০১:৫০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করেন জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবু নামে এক যুবক। পরে তিনি নিজেই তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশকে সব খুলে বলেন। সেই যুবককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

 

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন টিপু এ আদেশ দেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।

 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাবু যশোর সদরের জগন্নাথপুর বিশ্বাসপাড়ার মশিউর বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাবু।

 

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামে জহিরুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (৩২) এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও সাফিয়াকে (২) নিয়ে ২০২২ সালের ১৫ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন বাবু। এর আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ফেরার পথে অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু। এরপর মরদেহগুলো যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে চেঙ্গুটিয়া এলাকার একটি বাগানে ফেলে রাখেন।

 

পরে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে নিজেই বসুন্দিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে সব খুলে বলেন। এরপর তাকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।

 

এ ঘটনায় সাবিনা ইয়াসমিন বিথির বাবা মুজিবর রহমান অভয়নগর থানায় মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১১ বছর আগে বাবুর সঙ্গে বিথির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। এছাড়া বিভিন্ন দাবিতে বিথিকে মারধর করতেন বাবু। একপর্যায়ে তাকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারপরও নির্যাতন থামেনি। ঘটনার দিনও ঝগড়া এবং মারধর করা হয় বিথিকে। বাড়িতে নেওয়ার পথে তিনজনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু- বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পুলিশের তদন্তেও উঠে আসে একই তথ্য।

 

একপর্যায়ে অভয়নগর থানার এসআই গোলাম হোসেন ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর বাবুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালত বাবুকে ফাঁসির আদেশ দেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

রায়ের বিষয়ে পিপি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুর মৃত্যুদণ্ডের রায় যথার্থ হয়েছে। বাবু মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

সেই যুবককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ

আপডেট সময় : ০১:৫০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করেন জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবু নামে এক যুবক। পরে তিনি নিজেই তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশকে সব খুলে বলেন। সেই যুবককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

 

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন টিপু এ আদেশ দেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।

 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাবু যশোর সদরের জগন্নাথপুর বিশ্বাসপাড়ার মশিউর বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাবু।

 

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামে জহিরুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (৩২) এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও সাফিয়াকে (২) নিয়ে ২০২২ সালের ১৫ জুলাই দুপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন বাবু। এর আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ফেরার পথে অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু। এরপর মরদেহগুলো যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে চেঙ্গুটিয়া এলাকার একটি বাগানে ফেলে রাখেন।

 

পরে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে নিজেই বসুন্দিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে সব খুলে বলেন। এরপর তাকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।

 

এ ঘটনায় সাবিনা ইয়াসমিন বিথির বাবা মুজিবর রহমান অভয়নগর থানায় মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১১ বছর আগে বাবুর সঙ্গে বিথির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। এছাড়া বিভিন্ন দাবিতে বিথিকে মারধর করতেন বাবু। একপর্যায়ে তাকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারপরও নির্যাতন থামেনি। ঘটনার দিনও ঝগড়া এবং মারধর করা হয় বিথিকে। বাড়িতে নেওয়ার পথে তিনজনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু- বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পুলিশের তদন্তেও উঠে আসে একই তথ্য।

 

একপর্যায়ে অভয়নগর থানার এসআই গোলাম হোসেন ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর বাবুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালত বাবুকে ফাঁসির আদেশ দেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

রায়ের বিষয়ে পিপি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুর মৃত্যুদণ্ডের রায় যথার্থ হয়েছে। বাবু মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।