ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপির প্রমাণ লোপাটে সিসিটিভির ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিবিরের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ।
মঙ্গলবার শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এস এম ফরহাদ ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে বলেন, অমর একুশে হলে একজন কর্মকর্তা সব হল ব্যালট এবং কেন্দ্রীয় ব্যালটে ভোট দিয়ে বাক্স ভর্তি করেছে। তাকে ধরার পর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই ছবি আর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পরে এটি চাপা দিতে টিএসসিতে একটা মেয়েকে দিয়ে নাটক মঞ্চায়িত করা হয়েছে। এক শিক্ষার্থী বুথের ভিতর থেকে এক মিনিট পর বের হয়ে বলছে সেখানে নাকি সাদিক কায়েম বা অন্যদের আগে থেকে ভোট দেওয়া ছিল। কিন্তু আমরা প্রশাসনের কাছে ফুটেজ চাইলেও তারা আমাদের ফুটেজ দেয়নি। এ ঘটনার জড়িত হয় ওই শিক্ষার্থী না হয় স্টাফ। কেউ না কেউ জড়িত ছিল। কিন্তু ফুটেজ গায়েব। কারচুপির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য এটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ভোট কেন্দ্রে ঢোকা নিয়ে নতুন নতুন তথ্য হাজির করেছে। একেক কেন্দ্রে একেক নিয়ম। ছাত্রদলের আবিদ সকাল ৭টা থেকে ইউনিভার্সিটি ক্লাব থেকে শুরু করে প্রত্যেক সেন্টারে সেন্টারে ঢুকে। এরপর আমরা যখন অভিযোগ করলাম তখন একটা পর্যায়ে আমাদের বলেছে তোমরা ঢুকতে পারবা না।
তিনি বলেন, ইউল্যাবে সকাল ৮-১০টা পর্যন্ত কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। মিডিয়া বা পর্যবেক্ষক কাউকে না। সব হলে ঢুকতে পারলেও এখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত ভোটারদের পরিস্থিতি ভালো ছিল। কিন্তু টিএসসিতে নাটক মঞ্চস্থ মব আর বারবার ইস্যু ক্রিয়েট করায় শিক্ষার্থীরা বিরক্ত। এক ইস্যু ঢাকতে আরেক ইস্যু ক্রিয়েট করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে সিসিটিভির ফুটেজ চাইলে তা দেওয়া হয়নি। এজেন্ট দেয়ার ক্ষেত্রেও তারা মিস ম্যানেজমেন্ট করেছে। ১০ জন এজেন্টের মধ্যে ৬ জন ছাত্রদলের এজেন্ট দেওয়া হয়েছে।
আমরা সমস্ত বিষয়গুলো অবজার্ভ করছি। শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে সম্মান করে সবকিছু সহ্য করছি। কিন্তু অন্যায় করলে এর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো।