ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবুঝ প্রাণের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ নিয়ামতপুর

অপহরণ নাকি দুর্ঘটনা—প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চারদিকে। নওগাঁয় নিখোঁজের টানা ৫০ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের জলাশয় থেকে উদ্ধার হলো এক শিশুর নিথর দেহ। রবিবার সকালে স্থানীয়দের চোখে পড়তেই শুরু হয় কান্নার রোল, মুহ্যমান হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম।

নিখোঁজ থেকে লাশ—হতাশার শেষ প্রহর,পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুঁজেছেন সর্বত্র। কোথাও কোনো খোঁজ মেলেনি। শুক্রবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেও ফেরেনি সন্তান। অবশেষে রবিবার সকালে জলাশয়ে ভেসে ওঠা মরদেহ যখন উদ্ধার হয়—পরিবারের বুকভরা আশা তখন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই সত্য উদঘাটন হবে।”

শিশুর মৃত্যুতে পরিবারে চলছে আহাজারি, শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে গ্রাম। স্বজনদের বুকফাটা কান্না আর প্রতিবেশীদের হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। গ্রামের মানুষের প্রশ্ন—কীভাবে এমন নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে গেল? এ মৃত্যু কি কেবল দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো রহস্য?

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

অবুঝ প্রাণের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ নিয়ামতপুর

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অপহরণ নাকি দুর্ঘটনা—প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চারদিকে। নওগাঁয় নিখোঁজের টানা ৫০ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের জলাশয় থেকে উদ্ধার হলো এক শিশুর নিথর দেহ। রবিবার সকালে স্থানীয়দের চোখে পড়তেই শুরু হয় কান্নার রোল, মুহ্যমান হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম।

নিখোঁজ থেকে লাশ—হতাশার শেষ প্রহর,পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুঁজেছেন সর্বত্র। কোথাও কোনো খোঁজ মেলেনি। শুক্রবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেও ফেরেনি সন্তান। অবশেষে রবিবার সকালে জলাশয়ে ভেসে ওঠা মরদেহ যখন উদ্ধার হয়—পরিবারের বুকভরা আশা তখন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই সত্য উদঘাটন হবে।”

শিশুর মৃত্যুতে পরিবারে চলছে আহাজারি, শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে গ্রাম। স্বজনদের বুকফাটা কান্না আর প্রতিবেশীদের হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। গ্রামের মানুষের প্রশ্ন—কীভাবে এমন নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে গেল? এ মৃত্যু কি কেবল দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো রহস্য?