নির্বাচনকালীন সরকার এবং প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে কোনোভাবেই নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এ কথা জানায় দলটি।
দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীকের নেতৃত্বে ১৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংলাপে অংশ নেন।
এসময় শ্রমিক জনতা লীগের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যে কমিশন সক্ষম, সেই একই কমিশন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশের সাধারণ মানুষ ভোটারাধিকারসহ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতার বলেন, নির্বাচন কমিশনের মতোই দেশের প্রত্যেকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বিতর্কিত করতে সক্ষম হয়েছে। যে দেশের একজন প্রধান বিচারপতিকে তার মেয়াদ পূরণের আগেই দেশ ছাড়তে হয় এবং পরবর্তীতে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত যে, নৈতিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিকে জেনে-বুঝেই প্রধান বিচারপতি বানানো হয়েছিল, যাতে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতাসীনরা সর্বোচ্চ বিচারালয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারে।
সিইসিকে উদ্দেশ করে দলটির নেতারা বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মেতো দেশপ্রেমিকদের প্রস্তাবে আপনাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়ার কথা শুনে আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কিন্তু কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব এবং বিভিন্ন অসংলগ্ন কথাবার্তা দেশের মানুষকে বিস্মিত করেছে।
দলটি আরও বলে, ইভিএম নিয়ে সিইসির অতি উৎসাহ ক্ষমতাসীনদের তল্পিবাহক হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যা জনগণকে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে সন্দিহান করে তুলেছে।
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে শর্ত আরও শিথিল করার প্রস্তাব করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। এছাড়া নির্বাচনে টাকার প্রভাব কমানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইসিকে আহ্বান জানায়।