হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ অমান্য করে
সিদ্ধিরগঞ্জে স্থাপনা উচ্ছেদ
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় মহামান্য হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ অমান্য করে আধাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ। গত রবিবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ উচ্ছেদ অভিযান চালায়। ডিএনডি এলাকার পানি নিস্কাসনে কোন প্রতিবদ্ধকতা না থাকা সত্তেও এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করায় চলছে সমালোচনা।
জানা গেছে, মৌচাক এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণপাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনস্থ সরকারি জমিতে আধাপাকা স্থাপনা নির্মাণ করে একটি খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন দোকান গড়ে তোলেন মিজমিজির আশরাফ আলীর ছেলে মো: জালাল উদ্দিন। এসব স্থাপনা ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা বা পানি চলাচলে কোন বাধা সৃষ্টি করেনি। তবে সরকারি কাজের প্রয়োজনে স্থাপনা নির্মাণকারী জালাল উদ্দিন নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিতে কোন আপত্তি ছিলনা। সরকারি প্রয়োজন ছাড়া তার স্থাপনা যেন উচ্ছেদ করা না হয় সেজন্য জালাল উদ্দিন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব, বিডব্লিউডিবি‘র নির্বাহী প্রকৌশলী ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে বিবাদী করে মহামান্য হাইকোর্ডে রিট করেন। যান নং-১২২৩৯/২০২১। শুনানী শেষে স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে চলতি বছরের ৪ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম ও মো: মহি উদ্দিন আহমেদ এর বেঞ্চ পুনরায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ ৬ মাস বৃদ্ধি করেন।
স্থাপনা মালিক জালাল উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রবিবার (৬ নভেম্বর) সকালে স্থাপনা বুল্ডেজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। মহাসড়ক সংলগ্ন আমার এস্থাপনা সরকারি জায়গায় হলেও ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা কিংবা পানি চলাচলে কোন বাধা সুষ্টি করেনি। তবু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারি ক্ষমতাবলে আমার স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এতে আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
এবিষয়ে অভিযানে উপস্থিত থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তাই কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে জনস্বার্থে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।