শনিবার, ২৭ মে ২০২৩, ১২:১৯ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জের সুনই বিলে বৃদ্ধাকে গলাকেটে হত্যা, পলাতক ২ আসামী গ্রেফতার

রাজু ভুইয়া, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২

 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সুনই বিলে শ্যামা চরণ নামে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা সেই আলোচিত সুনই বিলের খুনি ফেরারী ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ২ আসামীকে ধর্মপাশা আদালতে হাজির করা হলে, ধর্মপাশা আদালত, আসামীদের সুনামগঞ্জ জজ কোর্টে প্রেরণ করেন।

জানাযায়, বিগত ৭ জানুয়ারী ২০২১ ইং তারিখ রাত ৮ টায় সুনই নদীর খলায়, সুনই বিলে শ্যামা চরণকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেন নিহত সুনই গ্রামের শ্যামা চরণ বর্মণ এর ছেলে চন্দন বর্মণ। অভিযোগ থেকে জানাযায় আসামী করা হয় ৬৩ জনের উপর এর মাঝে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, মোশারফ হোসেন মাসুম, মোবারক হোসেন যতন, চার ভাই সহ, মাহবুব আলম রিপন, সালাম মুন্সি, সোহরাব সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উপর মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলা না হওয়ায় অপর দিকে পুলিশ বাদী হয়ে মামল করেন এসআই আরিফুল ইসলাম বিপি ৭৫৯৪০৫৪৮৬১, ধর্মপাশা থানা। মামলা নাম্বার জি,আর ৩, মোকাদ্দমা নং ০৩-২০২১, ধর্মপাশা থানা মামলা নং ০৩, তারিখ ১০, ০১, ২০২১ ইং তারিখ। এই মামলা পলাতক আসামী মোহনগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মোশারফ মুছা, ধর্মপাশা উপজেলার সুনই গ্রামের মজিবুর রহমান, তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের হাবলু মিয়া, কলমাকান্দা উপজেলার বানীগাও গ্রামের ফেরদৌস মিয়া সহ জহরলাল, খলিল খান, সাধন ভৌমিক, মোঃ তুহিন কে বিভিন্ন এলাকা থেকে পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতার করেন পিবিআই। বিশেষ সুত্রে জানাযায়, মোশারফ মুছা, মজিবুর রহমান, হাবলু মিয়া,খলিল খান জামিনে মুক্তি পায় সঙ্গীয় জহরলাল জেল হাজতে রয়েছেন। ফেরদৌস মিয়া পলাতক, নেত্রকোণার সাধন ভৌমিক ও মোহনগঞ্জের তুহিন মিয়াকে গ্রেফতার করেছেন পিবিআই সিলেট।

গ্রেফতারের পর ধর্মপাশা আদালতে নিয়ে আসা হলে, ধর্মপাশা থেকে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে বিশেষ সুত্রে জানাযায়। খোজ নিয়ে যানাযায়, মনাই নদী প্রকাশ সুনই বিলে ইজার পাওয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে সুনাই গ্রামের বৃদ্ধাকে জবাই করে প্রতিপক্ষরা। তারেই মিথ্যা মামলায় জরিত হয় আওয়ামীলগের নেতৃস্থানীয় নেতা কর্মীরা।

এসআই আরিফুল হক এর জিডি নং ২০৫ এর থেকে জানাযায়, চন্দন বর্মন ও সুবল বর্মণ দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয় কিন্তু কোন অদৃষ্টের কারণে চন্দন বর্মণ জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। গত ৭/১/২০২১ ইং তারিখে সুনামগঞ্জ জেলায় দলীয় সভায় জাতীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সকলেই সুনামগঞ্জ জেলার সভায় উপস্থিত ছিলেন। এর প্রমাণ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া। কোন অদৃষ্টের শক্তিতে সাংসদ সহ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের উপর মিথ্যা অপবাদ প্রদান করা হয় এই প্রশ্ন এখন সবার সামনে, প্রশ্ন এখন বিভেকের মাঝে। সত্যের জয় হবেই এটা চিরন্ত সত্য কথা, নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তির আরও বলেন, কিছু সংখ্যক মানুষ রয়েছেন যারা অন্যের ভাল দেখতে পারে না, আমাদের স্থানীয় এমপি, সাদা মনের মানুষ উনার পরিবার নিয়ে, তিনবারের এমপি’র সাফল্য দেখে শত্রুরা বিভিন্ন ভাবে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত। আল্লাহু মহান, আল্লাহু রক্ষা করবেন, প্রকৃত আসামীর গ্রেফতার হচ্ছে হবে ইনশাল্লাহ।

এ ব্যাপারে সিলেট পিবিআই(পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন) এর তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. তরিকুল ইসলাম দুইজনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে ধর্মপাশা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এই মামলাটি সিলেট পিবিআইয়ের হাতে। ##

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর