রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

কোটালীপাড়ায় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

শাহীন মুন্সী, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

 

 

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ৫৬ নং বটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিপ্লব কর্মকার কর্তৃক ছাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, শিক্ষক বিপ্লব কর্মকার এর আগেও ৪৯ নং উত্তরপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করায় এলাকাবাসী তাকে বিতাড়িত করেছিলেন।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কোটালীপাড়ার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের মাদার বাড়ী গ্ৰামের দশরত কর্মকারের ছেলে।

শিক্ষা অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে আলোচিত ঐ শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ার পর এক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই কোটালীপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিস ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, যৌন হয়রানির ঘটনাটি আমাদের নজরে আসার পর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ২ জন সহকারী শিক্ষা অফিসার ইউসুফ আলী খাঁন ও শান্ত বিশ্বাসের সমন্নয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছি।

রাধাগঞ্জ ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি দিবাকর বাকচী বলেন, শিক্ষক বিপ্লব কর্মকার শুধু এই বিদ্যালয়ে নয় পূর্বের কর্ম কর্মস্থলেও ছাত্রীদের সঙ্গে একই ধরনের যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটিয়েছিল। এমন অনৈতিক শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

উল্লেখ্য গত ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ৫৬ নং বটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিপ্লব কর্মকারের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সূত্র ধরে সরজমিন প্ররিদর্শন করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিযোগ কারি ছাত্রীদের পিতা- মাতার সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, সহকারী শিক্ষক বিপ্লব কর্মকার দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের বিভিন্ন শ্রেনীর ছাত্রীদের পড়া বুঝিয়ে দেওয়ার নামে কাছে নিয়ে কোলে বসিয়ে মুখে চুমু সহ শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গার হাত দেয়।

মৌন হয়রানির শিকার হওয়া ৫ শ্রেনীর শিক্ষার্থী পল্লবী মন্ডল এর পিতা পরেশ মন্ডল তৎকালীন সময়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তার মেয়ে ওই স্কুলের শিক্ষক বিপ্লব কর্মকারের দ্বারা একাধিকবার যৌন হয়রানির শিকার হয়ে একপর্যায়ে স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুরোধে সবকিছু খুলে বলে। এরপর আমার বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে জানাই।

এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক বিপ্লব কর্মকারের বাড়িতে, স্কুলে ও তার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

কোটালীপাড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এবিষয়ে আমার দপ্তরে কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর