নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জয়নাল গ্রুপের সঙ্গে রাজা ও সিটি শাহিন গ্রুপের সংঘর্ষে আলোচিত “কিশোর সজল” (১৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামী জয়নাল ওরফে পঁচা জয়নালসহ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
মঙ্গলবার (২১ জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানী ঢাকার দোহার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত কিশোর সজল চনপাড়া ৯ নং ওয়ার্ডের ৮নং প্লটের বুলু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে রুপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-৫১) দায়ের করেন। মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১১এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে: কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, রুপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার মৃত: মান্নানের ছেলে জয়নাল ওরফে পঁচা জয়নাল (৩৮), মৃত: মালেকের ছেলে শাকিল (২৪), আনোয়ার দারোয়ানের ছেলে দারোয়ান বাবু (৩২), সালামের ছেলে সোহেল (২৭), আমির হোসেনের ছেলে শাহাদাত (১৯), আজাহার মোল্লার ছেলে মাসুদ (২২) ও কামাল হোসেনের ছেলে সিফাত (১৮)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জয়নাল গ্রুপের সঙ্গে রাজা ও সিটি শাহিন গ্রুপের মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে আসছিলো। এরই ধারাবহিকতায় গত শুক্রবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় রুপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার প্রভাবশালী মাদক সিন্ডিকেট জয়নাল ওরফে পঁচা জয়নাল গ্রুপের সঙ্গে রাজা ও সিটি শাহিন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দশ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষে জয়নাল গ্রুপের হামলায় ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হয় রাজা ও সিটি শাহিন গ্রুপের সদস্য কিশোর সজল।
পরবর্তীতে আহত কিশোর সজলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে রুপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতার “কিশোর সজল” হত্যা মামলার প্রধান আসামী জয়নাল ওরফে পঁচা জয়নালের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা ও তিনটি অস্ত্র মামলাসহ মোট ১৭টি মামলা রয়েছে। জয়নালের সহযোগী গ্রেফতার শাকিলের বিরুদ্ধে রয়েছে ৯টি মামলা, বাবুর বিরুদ্ধে রয়েছে ৪ টি ও সোহেলের বিরুদ্ধে রয়েছে একটি মামলা। গ্রেফতার আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন